💰 যদি ঋণ থাকে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করতে হয়, তবে ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে—কারণ এটি ওয়াজিব।
কুরবানী সুন্নত, সুতরাং ঋণ পরিশোধের পর যদি কোনো সঞ্চয় না থাকে, তবে আল্লাহ সামর্থ্য দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন। তবে, যদি ঋণ সুনিয়ন্ত্রিত থাকে এবং নিশ্চিত যে তা পরিশোধে কোনো সমস্যা হবে না, তাহলে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কুরবানী করতে পারেন।
📜 শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:
যদি ঋণদাতা চাপ না দেন, তবে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কুরবানী দিতে পারেন। সাময়িক অসচ্ছল ব্যক্তি ঋণ নিয়ে কুরবানী করতে পারেন তবে ঋণ করে কুরবানী না করাই উত্তম। কারণ কুরবানী আবশ্যক নয়।
❓ অন্যের থেকে ঋণ নিয়ে কুরবানী করা যাবে?
কুরআন-সুন্নাহ এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতে, ঋণ গ্রহণ করা জায়েজ, যতক্ষণ না এতে শরীয়ত-বিরোধী শর্ত থাকে। যদি কেউ নিশ্চিত হন যে ঋণ গ্রহণ করে তা পরিশোধ করতে পারবেন, তবে ঋণ নিয়ে কুরবানী করতে পারেন। যদি ঋণ পরিশোধে নিশ্চয়তা না থাকে, তাহলে ঋণ না করাই উত্তম।
🔖 ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:
"যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি পরিশোধে সক্ষম এবং ঋণ নিয়ে কুরবানী করতে চান, এটি উত্তম তবে আবশ্যক নয়।"
🔖 ইমাম বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:
"কুরবানী করা সুন্নত, ওয়াজিব নয়... যদি মুসলমান ঋণ নিয়ে কুরবানী করেন, তবে কোনো পাপ নেই, যদি তিনি পরিশোধ করতে সক্ষম হন।"
🔖 ইমাম উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:
"যে ব্যক্তি নিকট ভবিষ্যতে ঋণ পরিশোধের আশা করে না, তার জন্য ঋণ নিয়ে কুরবানী করা উচিত নয়।"
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন, তারা কুরবানী দিতে পারেন। তবে ঋণগ্রস্তদের কুরবানী করার বাধ্যবাধকতা নেই।
🤲 জান্নাতের পিয়াসী মুত্তাকী পাঠকদের জন্য পরামর্শ, ঋণ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি অহংকার, খিয়ানত ও ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
অর্থাৎ, ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলে জান্নাত পাওয়া কঠিন। আল্লাহ সবাইকে কুরআন-সুন্নাহর সঠিক অনুসরণে পরিচালিত করুন, আমীন।
👇 Please Subscribe Our YouTube Channel 👇
0 Comments
Please Do Not Enter Any Spam Link In The Comment Box.